বঙ্গীয় প্রাদেশিক স্বরাজ্য কমিটি
১৪৮ , রসা রােড , দক্ষিণ কলকাতা
২০ জুন, ১৯২৩

প্রিয় চৌধুরীসাহেব,

কিরণবাবুকে লেখা আপনার চিঠিটি আমার হাতে পৌঁছেছে । আমি টেলিগ্রাফ মানি অর্ডার করে একশাে টাকা পাঠিয়েছি । আশা করি বাকি দেড়শাে টাকা কয়েক দিনের মধ্যেই পাঠাতে পারব। এখন আবার ভাবছি, যে – সব সদস্য বি, পি, সি, সি’র সভায় যােগ দিতে আসবেন তাঁদের পথখরচাবাবদ কিছু টাকা পাঠাতে পারলে ভাল হয়। অবশ্য তারা এখানে আসার পরেও সেটা দেওয়া যেতে পারে।

বি, পি, সি, সি সভার এজেণ্ডার মধ্যে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বােমবাই সমঝােতার বিবেচনা। আমরা যদি এটি পাশ করাতে পারি, সভাপতি শ্যামবাবু এবং সেক্রেটারি প্রফুল্লবাবুর পদত্যাগ করার সম্ভাবনা আছে। শ্যামবাবু এবং প্রফুল্লবাবু পদত্যাগ করলে পুনর্নিবাচনের প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। আবার নির্বাচন হলে সভাপতি পদের জন্য আমরা মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে দাঁড় করাতে পারি। সেক্রেটারি পদের জন্যে, তেমন কোনাে ভাল লােক পাওয়া না গেলে, আমি প্রার্থী হতে পারি। আবার নির্বাচন হলে পরিবর্তন – বিরোধীরা সেক্রেটারি পদের জন্য মৌলভি মুজিবর রহমানকে দাঁড় করাতে পারে ।

এই পরিস্থিতিটি আপনি অনুগ্রহ করে ভেবে দেখবেন, এবং কোনাে সদস্যের সমর্থন পাওয়ার আশা থাকলে আপনি তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে পারেন । সভার অন্যান্য বিষয় নিয়ে আর কিছু ভাববার নেই । কাকে নিয়ে আসা উচিত আপনি ভেবে দেখবেন । একটাই কথা শুধু , আমরা এমন কাউকে আনতে চাই না যে আমাদের বিরুদ্ধে ভােট দেবে । টেলিগ্রাফিক মানি অর্ডারটি যদি আটক হয়ে থাকে, আপনি অনুগ্রহ করে আর কারও নামে আমার কাছে একটি বার্তা পাঠান । তাহলে আমি আপনাকে দেবার জন্যে মহম্মদ ইলিয়াসের কাছে টাকা পাঠাব । সিলেটের মৌলভি মহম্মদ আবদুল্লার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে । ওর সঙ্গে আপনার একটি চিঠি ছিল ।

প্রীতিমুগ্ধ
সুভাষচন্দ্র বসু