৩৮/২ এলগিন রােড
২৪-৭-২৩

মহাশয়,
ইদানীং বিভিন্ন সভা – সমিতি এমনভাবে ডাকা হচ্ছে যে, সেই পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করি । গত ১৮ জুলাই মির্জাপুর পার্কে একটা সভা ডাকা হয়েছিল । আশা করা হয়েছিল যে, উদ্যোক্তা বা উদ্যোক্তাগণ ওই সভায় কলকাতায় উপস্থিত উল্লেখযােগ্য নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন । ওই সভায় উপস্থিত হওয়ার পরে আমি জানতে পারি, শ্রীযুক্ত দাসকে ওই সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানানাে হয়নি । আমি তখন বিশিষ্ট উদ্যোক্তাদের একজনকে শ্রীযুক্ত দাসকে আমন্ত্রণ জানাবার পরামর্শ দিই । দুর্ভাগ্যক্রমে জনসাধারণ এইসব দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন, ফলে তাঁরা অন্যরকম ভেবে বসেন ।
গত ২৩ জুলাই , সােমবার ‘সার্ভেন্ট’ – এ প্রকাশিত একটি নােটিশে দেখি যে, তুর্কি শান্তি – উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে ২৫ এবং ২৬ জুলাই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে । লক্ষ্য করে দেখলাম যে, আহ্বায়কদের মধ্যে আমার নামও আছে । আমার দুর্ভাগ্য , সহযােগী উদ্যোক্তাগণ সভার ওই নােটিশ খবরের কাগজে পাঠাবার আগে নেহাত সৌজন্যের খাতিরেও এই বিষয়ে আমাকে কিছু জানাননি ।

আজ সকালে আবার দেখি ‘সার্ভেন্ট’ – এ ওই বিষয়ে আর একটি নােটিশ দিয়ে জানানাে হয়েছে ২৫ তারিখের সভা বাতিল । তার বদলে ২৬ জুলাই দুটি সভা অনুষ্ঠিত হবে । এই নােটিশেও স্বাক্ষরকারীদের নামের তালিকায় দেখি আমার নাম আছে । অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সম্পর্কে কেউ আমাকে কিছু জানাননি ।

একই দিনে দুটি আলাদা জায়গায় দুটি সভা ডাকার পরিকল্পনা আমার কাছে উদ্ভট ঠেকছে । উদ্ভট ঠেকার বড় কারণ, কাজের দিনে বেলা দুটোর সময় টাউন হলের মতাে জায়গায় জনসভার ডাক । সেদিনই আবার বেলা সাড়ে – চারটের সময় অন্যত্র একই বিষয়ে আর একটি সভা । এই পরিপ্রেক্ষিতে সহযােগী উদ্যোক্তাদের কাছে আমার অনুরােধ, বেলা দুটোর সময় টাউন হলের সভা বাতিল করে সন্ধেবেলায় কোনাে পার্কে একটিমাত্র সভার আয়ােজন করুন । ওই সভায় সব বক্তাকেই ডাকা যেতে পারে । আশা করি, আমার এই আবেদন বৃথা যাবে না ।

সুভাষচন্দ্র বসু